বিসিএস (BCS) এর পূর্ণরূপ হল বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস। বিসিএস পরীক্ষা হলো এই সিভিল সার্ভিসে ঢোকার জন্য যে পরীক্ষা দিতে হয় তা। সাধারণভাবে বাংলাদেশের সরকারি চাকরি দুই ভাগে বিভক্ত। একটি মিলিটারি, অন্যটি সিভিল সার্ভিস।
সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী অর্থাৎ মিলিটারির বাইরে প্রশাসন, পররাষ্ট্র, পুলিশ, ট্যাক্স ইত্যাদি সেক্টর সিভিল সার্ভিসের অন্তর্ভুক্ত।
আর ক্যাডার বলতে বুঝানো হয় কোনো সুনির্দিষ্ট কাজ করার জন্যে বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একটি দল। সরকারি চাকরির সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করতে নিয়োগপ্রাপ্তদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তোলা হয়, যাদেরকে সিভিল সার্ভিস ক্যাডার বা বিসিএস ক্যাডার বলা হয়।
বিসিএস ক্যাডার মূলত দুই প্রকার- জেনারেল ও টেকনিক্যাল। জেনারেল ক্যাডার থেকে যে কেউ যে কোনো বিষয় থেকে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি করতে পারেন, কিন্তু টেকনিকাল ক্যাডারের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট বিষয়ে শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হয়। বর্তমানে ২৬ ধরনের ক্যাডার রয়েছে।
উল্লেখ্য, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি সংযুক্ত দপ্তর হিসেবে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন একাডেমি ২১ অক্টোবর ১৯৮৭ তারিখে যাত্রা শুরু করে। ২১ অক্টোবর ১৯৮৭ হতে ৩০ জানুয়ারি ১৯৮৮ তারিখ পর্যন্ত তিন মাস মেয়াদি আইন ও প্রশাসন কোর্সের মাধ্যমে যাত্রা আরম্ভ করে।
৪৪ তম বিসিএস সার্কুলার অনুযায়ী, মুক্তিযোদ্ধা/ শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা, প্রতিবন্ধী প্রার্থী এবং বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার প্রার্থী ছাড়া অন্যান্যদের বয়স হতে হবে ২১ থেকে ৩০ বছর। অন্যান্যদের ২১ থেকে ৩২ বছর।
জেনারেল ক্যাডারের ক্ষেত্রে, যে কোনো স্বীকৃত বোর্ড থেকে এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষা পাসের পর চার বছর মেয়াদি শিক্ষা সমাপনী ডিগ্রি অথবা যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। একাধিক তৃতীয় বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না।
বিসিএস পরীক্ষা তিনটি ধাপে অনুষ্ঠিত হয়। আসলে এটিই বিসিএস পরীক্ষার ফলাফল বা সম্পূর্ণ কার্যক্রম শেষ হওয়ার প্রধান কারণ!
প্রিলিমিনারীতে মূলত ২০০ নম্বরের মাল্টিপল চয়েস প্রশ্নের উত্তর করতে হয়। এর মাধ্যমে মূলত বেসিক সাব্জেক্টগুলোতে প্রার্থীর দক্ষতা যাচাই করা হয়। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের প্রত্যেকটিতে ৩৫; বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে ৩০; আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে ২০; গাণিতিক যুক্তি, সাধারণ বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও আইসিটি, মানসিক দক্ষতার প্রতিটিতে ১৫ এবং ভূগোল ও পরিবেশ-দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, নৈতিক মূল্যবোধ ও সুশাসনে ১০ করে মোট ২০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়ে থাকে। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১ এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.৫০ করে কাটা যাবে। পরীক্ষার সময় ২ ঘণ্টা।
প্রিলিমিনারীতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা লিখিত পরীক্ষার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। লিখিত পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে ২০০ করে; আন্তির্জাতিক বিষয়াবলিতে ১০০; গাণিতিক যুক্তি-মানসিক দক্ষতা ও সাধারণ বিজ্ঞান-প্রযুক্তি এর ওপর ১০০ করে মোট ৯০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়ে থাকে। টেকনিক্যাল ক্যাডারের ক্ষেত্রে, বিষয়গুলোতে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। বাংলা, ইংরেজি ও অন্যান্য ভাষার প্রশ্নের উত্তরে সংশ্লিষ্ট বিষয় ছাড়া অন্যান্য প্রশ্নের উত্তর প্রার্থী বাংলা বা ইংরেজি যেকোনো ভাষায় উত্তর করতে পারবেন। চাইলে সাধারণ এবং টেকনিক্যাল দুটি ক্ষেত্রেই একজন প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন।
মৌখিক
লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা ২০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষার জন্য বিবেচিত হবেন।
লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় মোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে চূড়ান্তভাবে একজন প্রার্থীকে ক্যাডার হিসেবে সুপারিশ করা হয়।
অনার্স থেকেই হোক যুদ্ধের প্রস্তুতি! (BCS preparation from honors!)
পরীক্ষা শুরু হওয়া থেকে ফলাফল অবধি সময়টা অনেক দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া। এইতো, কিছুদিন আগে ৪৪ তম বিসিএসের সার্কুলার প্রকাশ করা হলো আর এদিকে প্রিলিমিনারীর ফলাফল বেরিয়েছে ৪৩তম বিসিএসের! শুধু পরীক্ষা থেকে ফলাফল নয় বিসিএস প্রস্তুতিটাও দীর্ঘমেয়াদীই। কিন্তু বেশিরভাগ প্রার্থী এই দীর্ঘমেয়াদী প্রস্তুতির বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয় না। অনার্স লেভেল থেকেই দীর্ঘমেয়াদী মানসিক প্রস্তুতি এবং বেসিক স্ট্রং করার দিকে গুরুত্ব দেয়া বেশ কাজে আসে। একবার দেখে নেয়া যাক বিস্তারিত-
লক্ষ্য থাকুক অটুট
বর্তমানে বেশিরভাগ তরুণদের মধ্যে ‘বিসিএস উন্মাদনা’ লক্ষ্য করার মত! অনেকটা হুজুগেই যেনো বিসিএস ক্যাডার হতে চায় অনেকে। তবে এই হুজুগ কিন্তু শেষমেশ পরিণত হয় ব্যর্থতায়। তাই এটা খুবই জরুরি লক্ষ্য নির্ধারণ করা। আপনি কেন ক্যারিয়ারের অন্যান্য অপশনকে পাশ কাটিয়ে বিসিএস ক্যাডারই হবেন তা প্রথম থেকেই নির্ধারণ করে রাখুন। এতে ধৈর্য্য ধরে প্রস্তুতি নেয়াটা অনেকাংশে সহজ হয়ে যাবে, উদ্যমও কমে যাবে না।
সিলেবাস ও প্রশ্ন সম্পর্কে ধারণা থাকুক পরিষ্কার
সিলেবাস সম্পর্কে ধারণা না রাখা আর প্রতিপক্ষ সম্পর্কে না জেনেই যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া অনেকটা একই। প্রশ্ন সিলেবাসের মধ্যে থেকে আসে। তাছাড়া, প্রত্যেকবার একটা নির্দিষ্ট প্যাটার্ন মেনেই প্রশ্ন করা হয়। বিগত বছরের প্রশ্ন বিশ্লেষণ করলে সেটা ধরতে পারবেন। আর প্রশ্ন দেখে নিজের বিষয়ভিত্তিক দুর্বলতার জায়গা সম্পর্কে একটা ধারণা করতে পারবেন। সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি শুরু করাটাও সহজ হবে।
স্ট্রং রাখুন বেসিক
যদি বলি বিসিএস ক্লাস ওয়ান থেকে এইচএসসি পর্যন্ত পঠিত বিষয়গুলোর ওপরই এক বিস্তারিত বা পূর্ণাঙ্গ পরীক্ষা তাহলে বোধ হয় একেবারে ভুল হবে না। সিলেবাসে থাকা বিষয়গুলোর বেসিকে জোর দিন। আপনি ইংরেজি গ্রামারে দুর্বল হয়ে থাকেন তাহলে ইংরেজির বেসিক ক্লিয়ার করুন। আপনি যদি অংকে কাঁচা হয়ে থাকেন তবে অংকের হাত পাকা করে ফেলুন। নিজের দুর্বলতার জায়গাটা ধরে কাজ করুন। আর আপনার যদি তেমন কোনো দুর্বলতা না থাকে তবে ঝালিয়ে নিন বিষয়গুলোর মৌলিক বিষয়াদি। এ জন্য এসএসসি লেভেলের বোর্ড বই ফলো করতে পারেন। চাইলে টিউশনিও করাতে পারেন। কারণ অন্যকে বুঝালে নিজের দুর্বলতা কেটে যায়।
ভাষার দক্ষতা জরুরি
বাংলা ও ইংরেজি দুটি ভাষাতেই দক্ষতা থাকা জরুরি। ভাষা দক্ষতা বলতে শুদ্ধরূপে লিখতে, পড়তে, বলতে ও বুঝতে পারাকে বুঝায়। বিসিএস লিখিত পরীক্ষার জন্য আপনার লেখার মান ভালো হওয়া খুবই জরুরি। লিখিততে যেহেতু বাংলা ও ইংরেজি উভয় মাধ্যমেই লিখতে হবে সেক্ষেত্রে ফ্রিহ্যান্ড রাইটিং আয়ত্তে আনাটা দরকার। প্রতিদিন যে কোনো বিষয়ে ১/২ পেইজ বানিয়ে লেখার অভ্যাস গড়ে তুলুন। পরবর্তীতে এই অভ্যাস অনেক বেশি কাজে দিবে। ফ্রিহ্যান্ড রাইটিং যদি অনার্স লেভেলেই না শেখা যায় তাহলে পরে আয়ত্ত করা খুব টাফ হয়ে যায়।
ভালো লিখতে ও পড়তে জানতে হলে বেশি বেশি সেই ভাষার বই পড়ার বিকল্প নেই। তাছাড়া লিখিত পরীক্ষায় ট্রান্সলেশনের ওপর অনেকটা নম্বর বরাদ্দ থাকে। পত্রিকা, বই বা ম্যাগাজিন থেকে ট্রান্সলেশন করার অভ্যাসটাও গড়ে তুলতে পারলে ভীষণ ভালো হয়।
পাশাপাশি বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষাতেই শুদ্ধ বাচনভঙ্গির সাথে কথা বলতে পারাটা জরুরি। সাধারণত পররাষ্ট্র ক্যাডারের ভাইভা ইংরেজিতে হয়ে থাকে। তাছাড়া ভাইভাতে ইংরেজিতে কথা বলার দক্ষতা যাচাই করা হতে পারে। তাই অনার্স থেকেই বিসিএস ভাইভার প্রস্তুতি হিসেবে স্পোকেন ইংলিশটাও আয়ত্তে রাখতে হবে। দেখা যায় বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরই ইংরেজিতে অনর্গল কথা বলার অভ্যাসটা থাকে না, পরবর্তীতে যা খারাপ ফলাফলের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এর সাথে ইংরেজি ভোক্যাবুলারিটাও শিখে ফেলা উচিৎ। এর জন্য নিয়মিত ইংরেজি পত্রিকা পড়ে শব্দগুলো আয়ত্তে আনা যেতে পারে। সাবলীলভাবে ইংরেজিতে কথা বলার জন্য করে ফেলতে পারেন টেন মিনিট স্কুলের এই কোর্সটি!
বিসিএসে যেহেতু বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি থেকে অনেক প্রশ্ন আসে সে কারণে নিজেকে বর্তমান বিশ্বের সাথে আপডেট রাখা খুবই প্রয়োজনীয়। এ জন্য নিয়মিত পেপার পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। ভালো হয় একই সাথে বাংলা ও ইংরেজি পত্রিকা দুটিই পড়লে। এতে ভাষার দক্ষতাও বাড়বে। পাশাপাশি কারেন্ট এফেয়ার্স, কারেন্ট ওয়ার্ল্ডের মত ম্যাগাজিনগুলোতেও চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন।
গুরুত্ব দিতে হবে একাডেমিক পড়াশোনাকে
অনেকেই অনার্সের শুরু থেকে এমনভাবে বিসিএসের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকেন যে নিজের একাডেমিক পড়াশোনাটাকে একেবারে বাদই দিয়ে দেন। যদিও আবেদন করতে একাডেমিক যোগ্যতা খুব বেশি লাগেনা কিন্তু একাডেমিক ফলাফলটাও আসলে জরুরি। সাধারণত ভাইভায় আপনার অনার্সকৃত সাব্জেক্ট থেকে প্রশ্ন করার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। সেজন্য আপনার নিজ সাব্জেক্ট সম্পর্কে ধারণা রাখা জরুরি। সেই সাথে ভালো রেজাল্ট আপনাকে আত্মবিশ্বাসীও করে তুলবে। তাই কোনোভাবেই একাডেমিক পড়াশোনা একেবারে বাদ দিয়ে বিসিএসের প্রিপারেশন নেয়া যাবে না। এ কারণে ভালো হয় অনার্স পড়ুয়াদের জন্য বিসিএস প্রস্তুতির স্টাডি প্ল্যান করে নিলে। প্রত্যেক দিন কোন কোন সেক্টরে কতটুকু সময় বরাদ্দ রাখবেন তা আগে থেকে প্ল্যান করে এগোলে সফলতার হার অনেক বেড়ে যাবে।
বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোচিত ক্যারিয়ার হলো বিসিএস ক্যাডার হওয়া। একই সাথে সরাসরি দেশের সেবা করা ও দারুণ সব সুযোগ সুবিধার জন্য শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীর অভিভাবক পর্যন্ত, সবারই প্রথম পছন্দ থাকে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে ক্যারিয়ার গড়া। শত শত বা হাজার হাজার নয়, প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ তরুণ এই ক্যারিয়ারের স্বপ্নে বিভোর হয়ে বিসিএস পরীক্ষা দেয়। লক্ষ লক্ষ তরুণ পরীক্ষা দিলেও স্বপ্ন পূরণ হয় মাত্র কয়েক হাজারের। এ কারণেই বিসিএসের দৌড়ে এগিয়ে থাকতে অনার্স বা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরু থেকেই বিসিএস প্রস্তুতি শুরু করতে চান অনেকে। আজকের লেখাটা তাদের জন্যই।
বিসিএস পরীক্ষা দেশের সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা;
বিসিএসের আদ্যোপান্ত
বিসিএস (BCS) এর পূর্ণরূপ হল বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস। বিসিএস পরীক্ষা হলো এই সিভিল সার্ভিসে ঢোকার জন্য যে পরীক্ষা দিতে হয় তা। সাধারণভাবে বাংলাদেশের সরকারি চাকরি দুই ভাগে বিভক্ত। একটি মিলিটারি, অন্যটি সিভিল সার্ভিস। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী অর্থাৎ মিলিটারির বাইরে প্রশাসন, পররাষ্ট্র, পুলিশ, ট্যাক্স ইত্যাদি সেক্টর সিভিল সার্ভিসের অন্তর্ভুক্ত।
আর ক্যাডার বলতে বুঝানো হয় কোনো সুনির্দিষ্ট কাজ করার জন্যে বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একটি দল। সরকারি চাকরির সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করতে নিয়োগপ্রাপ্তদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তোলা হয়, যাদেরকে সিভিল সার্ভিস ক্যাডার বা বিসিএস ক্যাডার বলা হয়।
বিসিএস ক্যাডার মূলত দুই প্রকার- জেনারেল ও টেকনিক্যাল। জেনারেল ক্যাডার থেকে যে কেউ যে কোনো বিষয় থেকে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি করতে পারেন, কিন্তু টেকনিকাল ক্যাডারের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট বিষয়ে শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হয়। বর্তমানে ২৬ ধরনের ক্যাডার রয়েছে।
উল্লেখ্য, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি সংযুক্ত দপ্তর হিসেবে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন একাডেমি ২১ অক্টোবর ১৯৮৭ তারিখে যাত্রা শুরু করে। ২১ অক্টোবর ১৯৮৭ হতে ৩০ জানুয়ারি ১৯৮৮ তারিখ পর্যন্ত তিন মাস মেয়াদি আইন ও প্রশাসন কোর্সের মাধ্যমে যাত্রা আরম্ভ করে।
আবেদন যোগ্যতা
৪৪ তম বিসিএস সার্কুলার অনুযায়ী, মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা, প্রতিবন্ধী প্রার্থী এবং বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার প্রার্থী ছাড়া অন্যান্যদের বয়স হতে হবে ২১ থেকে ৩০ বছর। অন্যান্যদের ২১ থেকে ৩২ বছর।
জেনারেল ক্যাডারের ক্ষেত্রে, যে কোনো স্বীকৃত বোর্ড থেকে এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষা পাসের পর চার বছর মেয়াদি শিক্ষা সমাপনী ডিগ্রি অথবা যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। একাধিক তৃতীয় বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না।
পরীক্ষা পদ্ধতি ও মানবণ্টন
বিসিএস পরীক্ষা তিনটি ধাপে অনুষ্ঠিত হয়। আসলে এটিই বিসিএস পরীক্ষার ফলাফল বা সম্পূর্ণ কার্যক্রম শেষ হওয়ার প্রধান কারণ!
প্রিলিমিনারী
প্রিলিমিনারীতে মূলত ২০০ নম্বরের মাল্টিপল চয়েস প্রশ্নের উত্তর করতে হয়। এর মাধ্যমে মূলত বেসিক সাব্জেক্টগুলোতে প্রার্থীর দক্ষতা যাচাই করা হয়। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের প্রত্যেকটিতে ৩৫; বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে ৩০; আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে ২০; গাণিতিক যুক্তি, সাধারণ বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও আইসিটি, মানসিক দক্ষতার প্রতিটিতে ১৫ এবং ভূগোল ও পরিবেশ-দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, নৈতিক মূল্যবোধ ও সুশাসনে ১০ করে মোট ২০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়ে থাকে। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১ এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.৫০ করে কাটা যাবে। পরীক্ষার সময় ২ ঘণ্টা।
লিখিত
প্রিলিমিনারীতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা লিখিত পরীক্ষার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। লিখিত পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে ২০০ করে; আন্তির্জাতিক বিষয়াবলিতে ১০০; গাণিতিক যুক্তি-মানসিক দক্ষতা ও সাধারণ বিজ্ঞান-প্রযুক্তি এর ওপর ১০০ করে মোট ৯০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়ে থাকে। টেকনিক্যাল ক্যাডারের ক্ষেত্রে, বিষয়গুলোতে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। বাংলা, ইংরেজি ও অন্যান্য ভাষার প্রশ্নের উত্তরে সংশ্লিষ্ট বিষয় ছাড়া অন্যান্য প্রশ্নের উত্তর প্রার্থী বাংলা বা ইংরেজি যেকোনো ভাষায় উত্তর করতে পারবেন। চাইলে সাধারণ এবং টেকনিক্যাল দুটি ক্ষেত্রেই একজন প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন।
মৌখিক
লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা ২০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষার জন্য বিবেচিত হবেন।
লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় মোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে চূড়ান্তভাবে একজন প্রার্থীকে ক্যাডার হিসেবে সুপারিশ করা হয়।
অনার্স থেকেই হোক যুদ্ধের প্রস্তুতি! ীক্ষা শুরু হওয়া থেকে ফলাফল অবধি সময়টা অনেক দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া। এইতো, কিছুদিন আগে ৪৪ তম বিসিএসের সার্কুলার প্রকাশ করা হলো আর এদিকে প্রিলিমিনারীর ফলাফল বেরিয়েছে ৪৩তম বিসিএসের! শুধু পরীক্ষা থেকে ফলাফল নয় বিসিএস প্রস্তুতিটাও দীর্ঘমেয়াদীই। কিন্তু বেশিরভাগ প্রার্থী এই দীর্ঘমেয়াদী প্রস্তুতির বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয় না। অনার্স লেভেল থেকেই দীর্ঘমেয়াদী মানসিক প্রস্তুতি এবং বেসিক স্ট্রং করার দিকে গুরুত্ব দেয়া বেশ কাজে আসে।
লক্ষ্য থাকুক অটুট
বর্তমানে বেশিরভাগ তরুণদের মধ্যে ‘বিসিএস উন্মাদনা’ লক্ষ্য করার মত! অনেকটা হুজুগেই যেনো বিসিএস ক্যাডার হতে চায় অনেকে। তবে এই হুজুগ কিন্তু শেষমেশ পরিণত হয় ব্যর্থতায়। তাই এটা খুবই জরুরি লক্ষ্য নির্ধারণ করা। আপনি কেন ক্যারিয়ারের অন্যান্য অপশনকে পাশ কাটিয়ে বিসিএস ক্যাডারই হবেন তা প্রথম থেকেই নির্ধারণ করে রাখুন। এতে ধৈর্য্য ধরে প্রস্তুতি নেয়াটা অনেকাংশে সহজ হয়ে যাবে, উদ্যমও কমে যাবে না।
সিলেবাস ও প্রশ্ন সম্পর্কে ধারণা থাকুক পরিষ্কার
সিলেবাস সম্পর্কে ধারণা না রাখা আর প্রতিপক্ষ সম্পর্কে না জেনেই যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া অনেকটা একই। প্রশ্ন সিলেবাসের মধ্যে থেকে আসে। তাছাড়া, প্রত্যেকবার একটা নির্দিষ্ট প্যাটার্ন মেনেই প্রশ্ন করা হয়। বিগত বছরের প্রশ্ন বিশ্লেষণ করলে সেটা ধরতে পারবেন। আর প্রশ্ন দেখে নিজের বিষয়ভিত্তিক দুর্বলতার জায়গা সম্পর্কে একটা ধারণা করতে পারবেন। সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি শুরু করাটাও সহজ হবে।
স্ট্রং রাখুন বেসিক
যদি বলি বিসিএস ক্লাস ওয়ান থেকে এইচএসসি পর্যন্ত পঠিত বিষয়গুলোর ওপরই এক বিস্তারিত বা পূর্ণাঙ্গ পরীক্ষা তাহলে বোধ হয় একেবারে ভুল হবে না। সিলেবাসে থাকা বিষয়গুলোর বেসিকে জোর দিন। আপনি ইংরেজি গ্রামারে দুর্বল হয়ে থাকেন তাহলে ইংরেজির বেসিক ক্লিয়ার করুন। আপনি যদি অংকে কাঁচা হয়ে থাকেন তবে অংকের হাত পাকা করে ফেলুন। নিজের দুর্বলতার জায়গাটা ধরে কাজ করুন। আর আপনার যদি তেমন কোনো দুর্বলতা না থাকে তবে ঝালিয়ে নিন বিষয়গুলোর মৌলিক বিষয়াদি। এ জন্য এসএসসি লেভেলের বোর্ড বই ফলো করতে পারেন। চাইলে টিউশনিও করাতে পারেন। কারণ অন্যকে বুঝালে নিজের দুর্বলতা কেটে যায়।
ভাষার দক্ষতা জরুরি
বাংলা ও ইংরেজি দুটি ভাষাতেই দক্ষতা থাকা জরুরি। ভাষা দক্ষতা বলতে শুদ্ধরূপে লিখতে, পড়তে, বলতে ও বুঝতে পারাকে বুঝায়। বিসিএস লিখিত পরীক্ষার জন্য আপনার লেখার মান ভালো হওয়া খুবই জরুরি। লিখিততে যেহেতু বাংলা ও ইংরেজি উভয় মাধ্যমেই লিখতে হবে সেক্ষেত্রে ফ্রিহ্যান্ড রাইটিং আয়ত্তে আনাটা দরকার। প্রতিদিন যে কোনো বিষয়ে ১/২ পেইজ বানিয়ে লেখার অভ্যাস গড়ে তুলুন। পরবর্তীতে এই অভ্যাস অনেক বেশি কাজে দিবে। ফ্রিহ্যান্ড রাইটিং যদি অনার্স লেভেলেই না শেখা যায় তাহলে পরে আয়ত্ত করা খুব টাফ হয়ে যায়।
ভালো লিখতে ও পড়তে জানতে হলে বেশি বেশি সেই ভাষার বই পড়ার বিকল্প নেই। তাছাড়া লিখিত পরীক্ষায় ট্রান্সলেশনের ওপর অনেকটা নম্বর বরাদ্দ থাকে। পত্রিকা, বই বা ম্যাগাজিন থেকে ট্রান্সলেশন করার অভ্যাসটাও গড়ে তুলতে পারলে ভীষণ ভালো হয়।
পাশাপাশি বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষাতেই শুদ্ধ বাচনভঙ্গির সাথে কথা বলতে পারাটা জরুরি। সাধারণত পররাষ্ট্র ক্যাডারের ভাইভা ইংরেজিতে হয়ে থাকে। তাছাড়া ভাইভাতে ইংরেজিতে কথা বলার দক্ষতা যাচাই করা হতে পারে। তাই অনার্স থেকেই বিসিএস ভাইভার প্রস্তুতি হিসেবে স্পোকেন ইংলিশটাও আয়ত্তে রাখতে হবে। দেখা যায় বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরই ইংরেজিতে অনর্গল কথা বলার অভ্যাসটা থাকে না, পরবর্তীতে যা খারাপ ফলাফলের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এর সাথে ইংরেজি ভোক্যাবুলারিটাও শিখে ফেলা উচিৎ। এর জন্য নিয়মিত ইংরেজি পত্রিকা পড়ে শব্দগুলো আয়ত্তে আনা যেতে পারে। সাবলীলভাবে ইংরেজিতে কথা বলার জন্য করে ফেলতে পারেন টেন মিনিট স্কুলের এই কোর্সটি!
থাকুন আপ টু ডেট
বিসিএসে যেহেতু বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি থেকে অনেক প্রশ্ন আসে সে কারণে নিজেকে বর্তমান বিশ্বের সাথে আপডেট রাখা খুবই প্রয়োজনীয়। এ জন্য নিয়মিত পেপার পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। ভালো হয় একই সাথে বাংলা ও ইংরেজি পত্রিকা দুটিই পড়লে। এতে ভাষার দক্ষতাও বাড়বে। পাশাপাশি কারেন্ট এফেয়ার্স, কারেন্ট ওয়ার্ল্ডের মত ম্যাগাজিনগুলোতেও চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন।
গুরুত্ব দিতে হবে একাডেমিক পড়াশোনাকে
অনেকেই অনার্সের শুরু থেকে এমনভাবে বিসিএসের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকেন যে নিজের একাডেমিক পড়াশোনাটাকে একেবারে বাদই দিয়ে দেন। যদিও আবেদন করতে একাডেমিক যোগ্যতা খুব বেশি লাগেনা কিন্তু একাডেমিক ফলাফলটাও আসলে জরুরি। সাধারণত ভাইভায় আপনার অনার্সকৃত সাব্জেক্ট থেকে প্রশ্ন করার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। সেজন্য আপনার নিজ সাব্জেক্ট সম্পর্কে ধারণা রাখা জরুরি। সেই সাথে ভালো রেজাল্ট আপনাকে আত্মবিশ্বাসীও করে তুলবে। তাই কোনোভাবেই একাডেমিক পড়াশোনা একেবারে বাদ দিয়ে বিসিএসের প্রিপারেশন নেয়া যাবে না। এ কারণে ভালো হয় অনার্স পড়ুয়াদের জন্য বিসিএস প্রস্তুতির স্টাডি প্ল্যান করে নিলে। প্রত্যেক দিন কোন কোন সেক্টরে কতটুকু সময় বরাদ্দ রাখবেন তা আগে থেকে প্ল্যান করে এগোলে সফলতার হার অনেক বেড়ে যাবে।
এক্সট্রা-কারিকুলার এক্টিভিটিজকে অবহেলা নয়
বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রম আপনাকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রাখবে অনেকাংশে। ডিবেটিং সোসাইটি, আবৃত্তি সংগঠন, সায়েন্স ক্লাব, ক্যারিয়ার ক্লাব ইত্যাদি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনগুলো অভিজ্ঞতা অর্জনে অত্যন্ত উপযোগী। সাংগঠনিক ও নেতৃত্বদানের দক্ষতা বিকাশ করে এ ক্লাবগুলো। প্রবলেম সলভিং স্কিল বা সুন্দর প্রেজেন্টেশন স্কিলও এখান থেকে গড়ে তোলা সম্ভব। তাই পরিমিত পরিমাণে এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটিজে অংশ নিতে কখনোই পিছপা হওয়া যাবে না।
চূড়ান্ত প্রস্তুতি (Final preparation)
পড়ে ফেলুন কিছু মৌলিক বই
তৃতীয় বর্ষে এসে কিছু মৌলিক বই পড়ে নিতে পারেন। বিশেষ করে বাংলাদেশের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ ও সাহিত্য সংক্রান্ত বই যা থেকে প্রায়ই প্রশ্ন আসতে দেখা যায়। উদাহরণস্বরূপ অসমাপ্ত আত্মজীবনী, বিশ্ব রাজনীতির একশো বছর, লাল নীল দীপাবলির কথা বলা যেতে পারে।
চতুর্থ বর্ষ অনার্স ছাত্রদের জন্য বিসিএস প্রিলিমিনারীর আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি নেয়ার মোক্ষম সময়। অর্থাৎ এই সময়, প্রিলিমিনারীর জন্য বিষয়ভিত্তিক গাইড বা বই পড়া শুরু করা উচিত। ভালো হয় প্রিলিমিনারী আর লিখিত দুটো পরীক্ষাতেই যেসব টপিক কমন সেগুলো একটু গুরুত্ব দিয়ে পড়ে ফেললে। কারণ লিখিত পরীক্ষার আগে সময় পাওয়া যায় মাত্র তিন মাসের মত। আগে থেকে কিছুটা পড়ে রাখলে পরবর্তীতে চাপ কমে যাবে। পাশাপাশি দেশের সংবিধান নিয়েও একটু পড়াশোনা করে ফেলতে পারেন। আর সাধারণ জ্ঞান একটু দেরি করে পড়া শুরু করাই ভালো।
পরিমিত পড়ার অভ্যাস করুন
ইংরেজিতে একটি প্রচলিত কথা আছে- Study Smarter not Harder. বিসিএসের ক্ষেত্রে এই কথাটি অক্ষরে অক্ষরে প্রযোজ্য। অপ্রয়োজনীয় জিনিস পড়লে অযথা আপনার সময়ই নষ্ট হবে। অতিরিক্ত না পড়ে প্রশ্ন এনালাইসিস করে গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো পড়ুন। অতিরিক্ত পড়ার ফলে পরীক্ষার হলে গিয়ে কনফিউজড হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও একেবারে কম নয়।
ঘরে বসে বিসিএস প্রস্তুতি!
অনেকে মনে করেন কোচিং ছাড়া বিসিএস প্রস্তুতি সম্ভবই না। এ ধারণা ভুল। কোচিং মূলত সঠিক গাইডলাইনের জন্য। আপনি চাইলে ঘরে বসে নিজেই প্রস্তুতি নিতে পারেন। অনার্সে যেহেতু নিজের একাডেমিক পড়াশোনাকেও গুরুত্ব দিতে হয় তাই নিজে প্রস্তুতি নিতে পারলে সময়টা বাঁচে।
আর একইসাথে দিকনির্দেশনা পেতে ও সময় বাঁচাতে প্রিলিমিনারীর জন্য নিয়ে নিতে পারেন অনলাইনে বিসিএস প্রস্তুতি! করে ফেলতে পারেন বিসিএস প্রিলি কোর্স।
সর্বোপরি স্রষ্টার ওপর ভরসা, নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস ও ধৈর্য্য রাখুন। অসম্ভব বলে তো কিছু হয় না! বিসিএসও একটি পরীক্ষা মাত্র। কঠিন তবে অসম্ভব নয়। সকল প্রার্থীর জন্য শুভকামনা রইল।
0 coment rios: