খায়রুল আলম রফিকঃ দীর্ঘদিনের স্বপ্ন মাদ্রাসা সুপারের চাকুরিতে মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার বার এমপিও ভূক্ত করাতে মোটা অংকের টাকা গেছে মো:
ওয়াহেদুজ্জামানের। নিজের সাথে আরো ১৭ জন সহকর্মীদের জড়িয়েছিলেন।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আদমপুর এ কে দারুস সুন্না দাখিল মাদ্রাসায় কর্মরত তারাও তাকে টাকা দিয়েছিলেন একই কারণে। এসব টাকা যার হাতে তুলে দিয়েছিলেন, তিনি ভাঙ্গা উপজেলার ইকামাতেদ্বীন কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ইউসুফ মৃধা। মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষক কর্মচারিদের এমপিওভূক্তিই নয়। সকল ধরনের তদ্বির বাণিজ্যে তিনি সিদ্ধ হস্ত। সরল বিশ্বাসে আদমপুর এ কে দারুস সুন্না দাখিল মাদ্রাসায় ১৮ জন শিক্ষক কর্মচারির মোটা অংকের টাকা ইউসুফ মৃধার পকেটে ঢুকলেও এমপিও ভূক্ত হতে পারেনি তারা আজও।
একদিকে সহকর্মীদের চাপ আরেকদিকে সংসারের ঘানি বাইতে গিয়ে ক্লান্ত পরিশ্রান্ত হয়ে পড়ের সুপার মো: ওয়াহেদুজ্জামান। টাকা ফেরৎ চাইতে গিয়ে অধ্যক্ষ ইউসুফ মৃধার রোষানলের কবলে পড়েন।
রাজধানীর আদালতে তার বিরুদ্ধে একের পর এক মোট ৫টি মামলা ঠুকে দেয় অধ্যক্ষ ইউসুফ মৃধা।
এসব মামলায় আটকে গিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন। ঢাকায় এসে মামলা পরিচালনা করার অর্থ যোগাতে বাধ্য হয়েই জীবন জীবিকায় আরো একটি কর্ম যুক্ত করতে বাধ্য হন। মতিঝিল দৈনিক বাংলা মোড়ে রিকশার পেডেলে পায়ের জোড় এতটাই হামলা যে ছোট মানুষ বহন করতেও ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা।
ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, মামলা এমপিওভূক্তির তদ্বির এখন নিজেকেই করতে হয়। মাদ্রাসা সুপার হিসাবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি রিকশাচালক মো: ওয়াহেদুজ্জামান। তিনি জানান, মামলা পরিচালনা করতে এছাড়া আর কোন বিকল্প খুঁজে পাইনি।
অধ্যক্ষ ইউসুফ মৃধা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এসব তদন্ত হচ্ছে। তদন্তেই বেড়িয়ে আসবে রেজাল্ট।
0 coment rios: